বার্সার আক্রমণ ঠেকানোর উপায় খুঁজছে ডর্টমুন্ড
Published: 9th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে বুধবার (০৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এই কঠিন লড়াইয়ের আগে ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ জানিয়েছেন, বার্সার আক্রমণ সামলাতে তাদের সেরা কৌশল বের করতে হবে।
এই বছর এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচে হারেনি বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানডোভস্কির দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটি লা লিগার পয়েন্ট টেবিলেও রয়েছে শীর্ষে।
কোভাচ বলেন, “আমরা এখানে আন্ডারডগ হিসেবে এসেছি। তবে এতে প্রতিপক্ষের কাজ সহজ হবে না। দুই লেগের ম্যাচ, তাদেরকে ডর্টমুন্ডে আসতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই পিএসজির শিরোপা জয়
এমবাপ্পে-রুদিগার-সেবালোসকে জরিমানা, রিয়ালের স্বস্তি
গতবারের ফাইনালিস্ট ডর্টমুন্ড বর্তমানে বুন্দেসলিগায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। গত শনিবার ফ্রাইবুর্গের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেলেও তাদের এখনও লিগে ছয়টি ম্যাচ বাকি, যেখানে শীর্ষ চারে থাকতে না পারলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
তবে দলে বড় ধাক্কা লেগেছে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ডিফেন্ডার নিকো শ্লটেরবেক ছিটকে যাওয়ায়। যিনি হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন। পাশাপাশি, পাসকেল গ্রসও থাকছেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে।
কোভাচ বলেন, “আমরা জানি, কাল (আজ) কী ভয়ংকর আক্রমণের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আমাদের খুবই সংযত হয়ে খেলতে হবে। বক্সের আশেপাশে ওরা খুবই শক্তিশালী। তবে প্রতিটি দলেরই দুর্বলতা থাকে, আমরাও সেগুলো কাজে লাগাতে চাই।”
তবে নিজের পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি কোভাচ, “আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। তবে এখন বলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি শুধু ভাবছি কীভাবে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি। আমি জানি না (বার্সা কোচ) হ্যান্সি ফ্লিক ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছেন কিনা। আমি তাকে চিনি। তিনি কাজপাগল ও বাস্তববাদী একজন মানুষ। আমরাও ট্রেবল নয়, ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যেই এখানে এসেছি। ভালো কিছু হলে খুশি হয়ে ফিরে যাব।”
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।