Samakal:
2025-06-16@08:50:23 GMT

বৈশাখ উদযাপনের রাজনীতি

Published: 10th, April 2025 GMT

বৈশাখ উদযাপনের রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। প্রথমে এই শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরে নাম পরিবর্তন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করা হয়। গত বছর পর্যন্ত এটিই প্রচলিত ছিল। এবার বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আগে এই শোভাযাত্রার নাম নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অবশ্য চার-পাঁচ বছর ধরে ‘মঙ্গল’ শব্দ এবং এই শোভাযাত্রার উপকরণ নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক শোনা যায়।  

নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান’ জানিয়েই শোভাযাত্রার নামকরণ তখন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করা হয়েছিল বলে কেউ কেউ দাবি করেন। অন্যদিকে আমাদের দেশে যেহেতু নামকরণ এবং নাম বদলের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে চলছে, তাই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে যাদের আপত্তি, তাদের এ জন্য দায়ী করার সুযোগ থাকছে না। তবে নাম বদলের উদ্দেশ্য যা-ই হোক; তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা শোভাযাত্রাটি বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে– এটা মেনে নিতে কারও আপত্তি থাকার কথা না। 
এবারের নববর্ষ উদযাপনের পরিপ্রেক্ষিত বিগত বছরের মতো নয়, বরং নব্বইয়ের মতো এবারও স্বৈরাচার পতনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ শুধু নববর্ষ উদযাপনের অনুষঙ্গ থাকছে না; উদযাপনের রাজনীতিও আরেকবার দেখা যাচ্ছে। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে– ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই স্লোগানেই পরিষ্কার হচ্ছে– গণতন্ত্রকামী জনতার প্রতিরোধ ও বিক্ষোভের মুখে যেভাবে স্বৈরাচার তকমা নিয়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেছেন, এবারের নববর্ষ উদযাপনেও তার সুর শোনা যাবে। 

সাম্প্রতিক সময়ে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই বলছেন, এই নামের মধ্যে সর্বজনীনতা নেই। শোভাযাত্রায় যেসব প্রতীক থাকে, তাতে আপামর বাংলার সংস্কৃতির পরিচয় থাকে না। এটাকে বলা হচ্ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও আধিপত্য। বলা হচ্ছে, বিগত দেড়-দুই দশকে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বেশ শক্ত শিকড় ছড়িয়ে ডালপালা বৃদ্ধি করেছে। স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হস্তক্ষেপের মতো প্রতিবেশী ভারতের সংস্কৃতি আমাদের এখানে প্রভাব রাখছে। এই বিবেচনায় শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করার পাশাপাশি এতে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করার বিষয়েও আপত্তি আসছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যা সর্বজনীন, এমন কিছু ব্যবহার করার দাবিও আছে। 

বিগত আওয়ামী লীগ আমলে মঙ্গল শোভাযাত্রার সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুখের আদলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রতিকৃতি দেখা গিয়েছিল। আবার টুপি-দাড়ি পরিহিত মুসলিমের মুখাবয়ব হাজির করা হয়েছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই মূলত এ দুটি প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়। বিরোধী মতকে হেয় প্রতিপন্ন করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য। এবার যে নামেই পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা হোক; এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সংবাদভাষ্যে জানা যাচ্ছে, এবারের শোভাযাত্রার অন্যতম প্রতীক হবে ফ্যাসিবাদের। শোভাযাত্রার মূল বিষয় ‘ফ্যাসিবাদী প্রতিকৃতি’। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মুখাবয়বের দু’পাশে থাকবে শিংয়ের মতো। জুলাই বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে মুগ্ধর ‘পানি লাগবে’ বোতলটি পাবে ১৫ ফুট উচ্চতার আদল। তার ভেতরে আরও অনেক পানির বোতল থাকবে শহীদদের স্মরণে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে এবার। এখন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে সঠিক মনে না করা, পরিবর্তিত বাংলাদেশে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়– এমন কিছুকে অস্বীকার করা অগণতান্ত্রিক নয়। এটিকে সর্বজনীন করতে হলে নামটা পরিবর্তন করা উচিত। আবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় যেসব প্রতীক ব্যবহার করা হয়– প্যাঁচা থেকে শুরু করে অনেক কিছু, সেগুলো আমাদের দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা চিন্তাভাবনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই রকম সাংঘর্ষিক বিষয় থেকে বেরিয়ে এসে সর্বজনীন কোনো প্রতীক ব্যবহার করলে হয়তো আপত্তি থাকবে না। মঙ্গল শোভাযাত্রার বয়স ৪০ বছরের বেশি নয়। এটা স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। দেশে দেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় জেঁকে বসা ক্ষমতাধররা জনসাধারণকে মোহগ্রস্ত করতে উৎসবকে ব্যবহার করে। এখানে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ তেমন সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। এর সঙ্গে পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদিও বহুকাল আগে থেকেই বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। গ্রাম থেকে শহরে সেটি পালিত হতো অন্যমাত্রায়, অন্যভাবে। সেটি এখন বিলুপ্ত হয়ে এসব শহুরে জায়গা দখল করেছে। এর সঙ্গে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মেলা ও অর্থনীতিতে যা প্রভাব পড়ে তা নতুন প্রতিযোগিতামূলক বাজারকে চাঙ্গা করে। কিন্তু এসব চাকচিক্যের আড়ালে থাকে সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ। আর এই সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কথা না বললেও শোভাযাত্রায় ‘অধর্ম’ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধর্মভিত্তিক দলের নেতারা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু করা যাবে না। ‘নববর্ষের আয়োজনে মূর্তিসহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিন। বরং এ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে ইসলাম সমর্থিত ধারণা ও উপকরণ ব্যবহার করুন।’ (সমকাল, ১০ এপ্রিল ২০২৫)

ধর্মভিত্তিক দলের নেতার অধর্মবিষয়ক জ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করবে– এমন স্বপ্ন নিয়েই কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল। নতুন বছরে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দূর হবে; বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষের নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত হবে এবং আর কোনো ফ্যাসিবাদী অবস্থা যাতে তৈরি না হয়– এমন প্রতিজ্ঞা হোক আমাদের সবার। 

এহ্‌সান মাহমুদ: সহকারী সম্পাদক, 
সমকাল; কথাসাহিত্যিক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নববর ষ উদয প ব যবহ র কর র র জন ত আম দ র আপত ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভোল পাল্টে’ সক্রিয় কিশোর গ্যাং, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। এলাকায় নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবন, মারামারি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ছত্রচ্ছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। তবে এখন ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিড়েছে তারা।

সম্প্রতি এলাকাটিতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলম (৫২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। মসজিদের পাশে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত ৩ এপ্রিল তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এরপর গত শনিবার তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন কয়েকজন স্থানীয় তরুণ। ওই তরুণেরা রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় মিছিল-সমাবেশে কিশোরদের ব্যবহার করে আসছেন। ফলে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাও এসব কিশোরকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশ্রয় দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আগে এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল চর আবাবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দিক সর্দারের হাতে। তাঁরা এসব কিশোরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই কিশোরেরা ভোল পাল্টে বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় হচ্ছে। আবদুর রহিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এসব তরুণকে নতুন করে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রহিম ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও তাঁর পদপদবি নেই।

জাহাঙ্গীর আলম খুনের ঘটনায় আবদুর রহিমকেও আসামি করা হয়। মামলার পর তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আমি প্রশ্রয় দিচ্ছি—এমন অভিযোগ প্রায় করা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দিক সর্দার বলেন, ‘কিশোর গ্যাংকে আমি কখনো প্রশ্রয় দিইনি। তারা (কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা) আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত।’ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দলীয় কোনো নেতা-কর্মী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রশ্রয় দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো নেতা-কর্মীর অপকর্মের দায় দল নেবে না।

জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। আদালত রায়পুর থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মসজিদের আশপাশে জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে সাব্বির হোসেন, জুবায়ের হোসেনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ৮–১০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা করেছেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।

জানতে চাইলে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান বলেন, কিশোর-তরুণদের খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ফেরাতে না পারলে অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। কেউ যাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ