ফেনীর দাগনভূঞা-বসুরহাট সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দাগনভূঞা-বসুরহাট সড়কের শরীফপুরের নতুনপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অটোরিকশাচালকের নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি দাগনভূঞার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁনপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। অপরদিকে নিহত যাত্রীর নাম রাজীব (২৩)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী এলাকার সফিকের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসুরহাটগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নজরুল ইসলাম মারা যান। গুরুতর আহত যাত্রী রাজীবকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। তাদের আটকে অভিযান চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/সাহাব/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ গনভ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ