আজ শুরু পিএসএল, লিটন-রিশাদ-নাহিদদের ম্যাচ কবে–কখন
Published: 11th, April 2025 GMT
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর শুরু হচ্ছে আজ। ছয় দলের এই টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এবার খেলবেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা।
উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান লিটন খেলবেন করাচি কিংসে, লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স আর আলোচিত ফাস্ট বোলার নাহিদকে কিনেছে পেশোয়ার জালমি। লিটন ও রিশাদকে পুরো মৌসুম খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। এই দুজন কদিন আগে পাকিস্তানে পৌঁছে নিজ নিজ দলে যোগও দিয়েছেন।
তবে নাহিদকে শর্তসাপেক্ষে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০ এপ্রিল সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট খেলে পাকিস্তানে যাবেন ২২ বছর বয়সী পেসার।
এ কারণে নাহিদকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে পাবে না পেশোয়ার জালমি। সব ঠিক থাকলে ২৭ এপ্রিল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ম্যাচ দিয়ে নাহিদকে প্রথমবারের মতো পিএসএলে দেখা যেতে পারে।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্স। রিশাদদের মাঠ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হবে আগামী ১৮ মে।
বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার যেহেতু ভিন্ন দলে খেলছেন, তাই প্লে–অফ পর্বের আগে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে নিজেদের মধ্যে দুবার করে খেলবেন।
লিটন–রিশাদ প্রথমবার প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবেন ১৫ এপ্রিল করাচিতে, ফিরতি ম্যাচ লাহোরে ৪ মে।
পেশোয়ার জালমির হয়ে নাহিদ যেহেতু প্রথম পাঁচ খেলতে পারবেন না, তাই জাতীয় দলের সতীর্থ লিটন ও রিশাদের বিপক্ষে একবারই খেলার সুযোগ পাবেন। রাওয়ালপিন্ডিতে ৮ মে লিটনের করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে নাহিদের পেশোয়ার জালমি, একই ভেন্যুতে পরদিন নাহিদরা খেলবেন রিশাদের লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে।
বাংলাদেশে পিএসএলের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টিভি। টি স্পোর্টস অ্যাপেও খেলা দেখা যাবে। এ ছাড়া পিটিভি স্পোর্টস, এ স্পোর্টস, সনি স্পোর্টস টেন ১ ও ৫ এবং স্পোর্টজেডএক্স অ্যাপেও পিএসএল উপভোগ করতে পারবেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল