নদীতে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু, জাল ফেলে লাশ উদ্ধার
Published: 11th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীতে ডুবে রিয়া চাকমা ও পিয়াসি চাকমা নামের দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের নলছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুই কিশোরীরই বাড়ি নলছড়া এলাকা। পিয়াসি ওই এলাকার বিদেশি চাকমা এবং রিয়া রূপায়ণ চাকমার মেয়ে। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, দুই কিশোরী আরও তিনজনের সঙ্গে নদীতে শামুক খুঁজতে গিয়েছিল। এর একপর্যায়ে রিয়া চাকমা নদীতে তলিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে যায় পিয়াসি চাকমাও। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে নদীতে জাল ফেলে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভাইবোন ছড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ভাইবোন ছড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাতু মনি চাকমা বলেন, ‘পিয়াসি চাকমা আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহত রিয়া সম্পর্কে পিয়াসি চাকমার ফুফু। বিজু শুরুর আগমুহূর্তে দুজনের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস