Samakal:
2025-06-15@16:45:59 GMT

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৪

Published: 11th, April 2025 GMT

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৪

লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ী সদরে সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে কিশোরীর পরিবার মামলা করলে আট মাস পর গ্রেপ্তার করা হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে।

১৮ মার্চ বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে ইউনিয়নের চরউভূতি এলাকায় ৬ বছরের শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টা করে রিপন হোসেন। রায়পুর উপজেলার চরমোহনা এলাকায় শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে মনির হোসেন। নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর পরিবার বুধবার থানায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে এক কিশোর। অসুস্থ শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগ পেয়ে কয়েকজনের ছবি তুলে শিশুটিকে দেখানো হয়। সে এক কিশোরকে শনাক্ত করে। ওই কিশোরকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বারাইজুরি গ্রামের কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই গ্রামের আব্দুল কাদের। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করে তার পরিবার। এরপর থেকে আব্দুল কাদের পলাতক ছিলেন। আট মাস পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর র‌্যাব-১০ তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় হস্তান্তর করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুনর্বাসনের জমিতে কর্মকর্তাদের জন্য ভবন: সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালায়ে দুদকের অভিযান

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিধিবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। আজ রোববার বনানীর সেতু ভবনে এ অভিযান চালানো হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এ তথ্য জানিয়েছে।

দুদক বলছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযানটি চালায়। এ সময় সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন ভিলেজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা ৪০ একর জমির মধ্যে ১ দশমিক ১৫ একর জায়গায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও কর্ণফুলী নামের চারটি ভবনে ২৮০টি ফ্ল্যাট সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে—এমন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই জমি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত ছিল। তাঁদের জন্য ইতিমধ্যে ১২টি ভবনে ১ হাজার ৩৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও কীভাবে সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য এই জমিতে সরকারি অর্থে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, অভিযানে দুদকের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন তোলা হয়।

দুদক জানায়, অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সেতু ভবন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আলোচনার ভিত্তিতে দুদক টিমের কাছে এটি অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত উদ্যোগ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানে সংগৃহীত নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

আরও পড়ুনসরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট নিয়েছেন সচিবেরা, তালিকায় কারা রয়েছেন১৪ জুন ২০২৫

এদিকে সরকারি জমিতে সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এহসানুল হককে। অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব।

তদন্ত কমিটি গঠনসংক্রান্ত আদেশ আজ রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ জুন প্রথম আলোয় ‘সরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট নেন সচিবেরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনসরকারি জমিতে সস্তায় সচিবদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ তদন্তে কমিটি, কার্যক্রম স্থগিত৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ