ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাড়িগুলো থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কোলাবাজারে বিএনপি নেতা বাবলুর রহমানের ফার্নিচারের দোকানে হামলা চালান নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তার লোকজন। তারা দেশী অস্ত্র দিয়ে বাবলুর রহমান ও তার ভাইপো আফাঙ্গীরকে জখম করে। এ ঘটনার জেরে কোলাবাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়। সেখান থেকে হামলাকারীদের আটকের দাবি করা হয়। মিছিলে অংশ নেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের বনি। 

আরো পড়ুন:

জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ

লক্ষ্মীপুরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের জেরে ১৫ বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোলা গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, “শুক্রবার সকালে বনিদের বাড়িতে প্রায় ২০০-৩০০ লোক হামলা চালায়। তাদের হাতে দা ছিল। তারা আরো কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। যারা এসেছিল তারা অন্য ইউনিয়নের মানুষ। এক ইউনিয়নের মানুষ অন্য ইউনিয়নে এসে হামলা চালাচ্ছে। এ সময় বাজারে পুলিশ ছিল।”  

 

কোলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের বনি বলেন, “বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ ও বর্তমানে বিএনপি নেতা দাবি করা নজরুল ইসলাম মোল্লা ও আলাউদ্দীন আলার নেতৃত্বে প্রায় ২৫০-৩০০ লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এসময় একটি মোটরসাইকেল ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুট হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “যুবনেতা জলিল আহমেদের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

জুবায়ের বনির মা শেখা খাতুন জানান, অনেক মানুষ অতর্কিত হামলা চালায় বাড়িতে। এ সময় তার স্বামী ও দুই ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগের সময়ও স্বামী-সন্তানদের পালিয়ে থাকতে হয়েছে, এখনো তাদের পালাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলাম মোল্লার মোবাইলে ফোন কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল অভ য গ ছ ত রদল র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত

যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। একই সঙ্গে শিশুটির আইনি সুবিচার পেতে জেলার জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি কথা বলেন।

বুধবার যশোরের চৌগাছায় বাড়ির পাশে শিশুটিকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দাদা। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে (৫৫) আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশুটির মা হাসপাতালে জানান, তার মেয়েটি বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় শিশুটিকে একা পেয়ে মিজানুর জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে কান্না করছিল। তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তার চিকিৎসা চলছে। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন সাফায়েত বলেন, শিশুটিকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের ক্ষত স্থানে অপারেশন করা হয়েছে। এখন শিশুটিকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এখন শঙ্কামুক্ত। 

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল ঘটনা জানা যাবে। ঘটনার পরেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় তার সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যশোরের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা অমিত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং শিশুটির পরিবার আইনি বিচার পেতে  জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনা দেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, শিশুটির সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিশুটির বাবা বিদেশ থাকে। এই পরিবারে কোন পুরুষ সদস্য নেই। তাছাড়া তারা গরীব। ঘটনাটি জানার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে আমরা শিশুটিকে দেখতে যাই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
  • ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত