‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় চারুকলা অনুষদ যা জানাল
Published: 12th, April 2025 GMT
নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এ জন্য তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.
ভোর ৪টা ৫০ এর দিকে ওই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এ কাজ করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আলিসের ফিরতে হবে পরের বিপিএলে
শেষ বিপিএলে চমক দেখিয়ে আবারো লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন আলিস আল ইসলাম। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের জায়গটা পাকাপোক্ত করতে পারবেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মমতা। বিপিএলের ফাইনালে নিজের দল চিটাগং কিংসকে তুলে ফাইনাল খেলতে পারেননি। হাঁটুর চোটে ছিটকে যান ফাইনাল থেকে। এরপর তাকে যেতে হয়েছে চিকিৎসকদের ছুরি কাঁচির নিচে। দেশের বাইরে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। ২২ গজে ফিরতে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরেকটি বিপিএলের। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে বিপিএল। সেই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখেই মাঠে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বৈচিত্র্যময় স্পিনার।
রাইজিংবিডি-কে মুঠোফোনে আলিস বললেন, ‘‘আগামী বিপিএল দিয়ে আমার মাঠে ফেরার পরিকল্পনা। এর আগে চাইলেও পারব না। কারণ আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া লম্বা হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমি কেমন করি সেটার ওপর নির্ভর করবে আমার ফেরা। বিপিএলে এখনো সময় আছে। এজন্য চাইচ্ছি ধীর-স্থির গতিতে আগাতে। বোলিং কিংবা রানিং বা হাঁটা কবে শুরু করতে পারবো— এসব কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। আপাতত আমাকে প্রপার ডায়েট, কিছু এক্সারসাইজ, কিছু থেরাপি আর মেডিটেশন করতে হবে। এসব করলে আমার ফেরার প্রক্রিয়ায় দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’’
হাঁটুর এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট) চোটে পড়েছেন আলিস। অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক ছিল। মালয়েশিয়ায় গত মাসে করানো হয় আলিসের অস্ত্রোপচার। ২১ দিন পুরোপুরি বিশ্রামের পর গত সপ্তাহে শুরু হয় তার পুনর্বাসন। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে ৯ মাস সময় লাগে। প্রকারভেদে আরো অনেক বেশি ও কম সময় লাগতে পারে। যেমন, ইবাদত হোসেনেরই লেগেছে প্রায় ১৩ মাস। আলিসের কম সময় লাগতে পারে স্পিনার হওয়াতে। দ্বিতীয়ত, কিভাবে নিজেকে যত্ন করছেন সেটাও নির্ভর করছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু
টিভিতে আজকের খেলা
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেছেন, ‘‘আমাদের টার্গেট নেক্সট বিপিএল। আমরা চাইছি সে যেন বিপিএলটা খেলতে পারে। দেখা যায় এসিএলে ৯ মাস সময় লাগে। আমরা সেটা ওভারকাম করতে চাচ্ছি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে, কবে নাগাদ বোলিং শুরু করতে পারবে। বিপিএলটা টার্গেটে রেখে এগোনোর চেষ্টা করছি।”
২০১৯ সালে বিপিএলে যাত্রা শুরু করার পর অনেক চড়াই উৎরাই হয়েছে। বোলিং অ্যাকশন শোধরানো লেগেছে। ইনজুরিতে দেড় বছর বাইরে কাটিয়েছেন। তবুও ফিরে এসে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবারও বিশ্বাস, ফিরে এসে নিজের ছন্দেই থাকবেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল