গাজায় এ পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
Published: 13th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। হামলা থেকে বাদ যায়নি বিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল, এমনকি হাসপাতাল। হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা করেছে কিংবা আগুন দিয়েছে ইসরায়েল।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলোর একটি তালিকা আজ রোববার প্রকাশ করেছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর। তালিকায় সর্বশেষ হামলার শিকার গাজা নগরীর আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের নামও রয়েছে। আজ এ হাসপাতালে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তালিকায় আরও রয়েছে গাজা নগরীর আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স, আল-কুদস হাসপাতাল, তার্কিশ-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল, আল-আওদা হাসপাতাল, জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল, মধ্য গাজার জাফা হাসপাতাল, দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ মোট ৩৫টি হাসপাতালের নাম।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণের এক ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।আরও পড়ুনগাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা৪ ঘণ্টা আগেএদিকে আজকের হামলায় আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসাকর্মীরা।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা বিভাগ। হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজায় ৫০০ শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল১২ ঘণ্টা আগেসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন, হামলার আভাস পেয়ে আগেভাগে হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণের এক ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনইসরায়েলের অন্তত ৩৬ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শুধুই নারী ও শিশুরা১২ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনযে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম১৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী