জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৯০ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও নিজস্ব ফোন রয়েছে ৬৫ দশমিক ১ শতাংশের। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরিপের তথ্য বলছে– দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বড় অংশ মোবাইল গ্রাহক। কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নগণ্য সংখ্যক। মূলত উৎপাদনশীল খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার কম।

গত ৭ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের ২ হাজার ৫৬৮ এলাকার ৬১ হাজার ৬৩২টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়। বিবিএস জানায়, তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের কাছ থেকে, শহর ও গ্রামের পারিবারিক পরিবেশ বিবেচনায় রেখে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় সরবরাহ করা হবে।

জনসংখ্যার অর্ধেকের কম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ইন্টারনেটের ব্যবহার শহরের প্রায় অর্ধেক, ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিপরীতে শহরে ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জরিপ অনুসারে, ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শহরের তুলনায় গ্রামের পরিবারগুলো অনেক পিছিয়ে। শহরের ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে; গ্রামে এ হার ৪৮ দশমিক ২। ২০২৩ সালে দেশে পরিবারপ্রতি ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৭ লাখ। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ৬০ লাখ। বিবিএসের জরিপ হিসাবে নিলে এ সংখ্যা হয় প্রায় ৮ কোটি। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশই মোবাইল গ্রাহক। অধিকাংশ গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করেন। তাই মোবাইল গ্রাহক ধরে ইন্টারনেট ব্যবকারীর সংখ্যা বেশি হয়েছে।

উৎপাদনশীল খাতে ইন্টারনেট ব্যবহার কম
বিবিএস জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ইন্টারনেটের অর্থবহ ব্যবহার কম। অধিকাংশ মানুষ শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জানতে চাইলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট অবকাঠামো যেভাবে ছড়িয়েছে, উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার সেভাবে হয়নি। অধিকাংশ মানুষ বিনোদনের জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় ইউটিউব, ফেসবুক রিলস ও টিকটকে।

পল্লিতে কম্পিউটার ব্যবহার অতি নগণ্য
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। শহরের ২০ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে; গ্রামে এ সংখ্যা মাত্র ৩ দশমিক ৮। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডেস্কটপ ব্যবহার করে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, ল্যাপটপ ৩ দশমিক ১ ও ট্যাব ব্যবহার করে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

বেড়েছে টিভি-রেডিও ও স্মার্টফোনের ব্যবহার
বিবিএসের তথ্য বলছে, পরিবার পর্যায়ে টেলিভিশনের ব্যবহার  বেড়েছে। এখন ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৬২ দশমিক ২। জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রায় সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারের কাছে এখন মোবাইল ফোন রয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৯৭ দশমিক ৯। স্মার্টফোন ব্যবহারে বড় পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩। শহর-গ্রাম উভয় এলাকাতেই ব্যবহার বেড়েছে। তবে শহর এগিয়ে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকের জরিপ বলছে, গ্রামের ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং শহরের ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে শহরের ৪১ ও গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।

বিবিএস জরিপের তথ্যমতে, দেশে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারে ল্যান্ডফোন রয়েছে, যা ২০২৩ সালের জরিপে ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

জরিপে পরিবারগুলোতে এখনও বেতারের ব্যবহার রয়েছে এবং এটি বাড়ছে। বর্তমানে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে রেডিও রয়েছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ১৪ দশমিক ৯।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উৎপ দনশ ল খ ত ট র ব যবহ র ফ ন ব যবহ র ব যবহ র কম ২০২৩ স ল শ পর ব র ব ব এস র দশম ক ৭ দশম ক ১ ২ দশম ক ৩ দশম ক গ র হক শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

সনাহাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শহরে যুবদলের মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল।

‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড় থেকে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। মিছিলটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রোহলের মোড় হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে মহানগর বিএনপির মূল মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

‎এময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপরে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ