শাস্তি ও জরিমানা বাড়ল তাওহীদের, মোহামেডানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আপিল
Published: 14th, April 2025 GMT
মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য তাওহীদ হৃদয়কে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলেন ম্যাচ রেফারি। কিন্তু ম্যাচের পর দেশের আম্পায়ার নিয়ে তীব্র সমালোচনা করায় শাস্তির মেয়াদ আরো বেড়েছে তার। করা হয়েছে জরিমানাও। নতুন করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। এছাড়া তিন ডিমেরিট পয়েন্ট এবং ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে তার নিষেধাজ্ঞা কমাতে লিগের আয়োজক সিসিডিএমের কাছে আবেদন করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লিগের খেলা শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। শুরুর দুই ম্যাচে মোহামেডান তাদের অধিনায়ককে না পেলে নিশ্চিতভাবে বড় ধাক্কা হজম করবে।
১২ এপ্রিল লিগের শেষ ম্যাচে মোহামেডানের প্রতিপক্ষ ছিল আবাহনী। ম্যাচকে ঘিরে ব্যাট-বলে তেমন কোনো উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ছড়ায়নি। মোহামেডান শুরু থেকে দাপট দেখিয়েছে। আবাহনী এক পর্যায়ে ফিরে লক্ষ্য নাগালে রেখেছিল। বোলিংয়ে মোহামেডান আবার দাপট দেখায়। জুটি গড়ে আবাহনীও দেয় জবাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের দলগত পারফরম্যান্সে আবাহনীকে হার মানতে হয়।
আরো পড়ুন:
সুপার লিগে উঠল যারা
তিন ফিফটির সঙ্গে রবিউলের তোপে অগ্রণীর বড় জয়
তবে ইবাদত হোসেনের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের এক এলবিডব্লিউ আবেদেনকে ঘিরে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেটাও অনফিল্ড দুই আম্পায়ার তানভীর ও সৈকতের সঙ্গে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমের। আম্পায়ারের থেকে আউটের সাড়া না পেয়ে ইবাদতও অশোভন আচরণ করেছেন। ড্রেসিংরুমের দিকে তাক করে আঙ্গুল তুলে চিৎকার করতে দেখা গেছে তাকে। পরিস্থিতি এতোটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ের ছিল যে মিনিট তিনেক খেলা বন্ধ ছিল।
আম্পায়ার তানভীরকে বেশ কিছুক্ষণ কথা শোনাচ্ছিলেন তাওহীদ। তাকে সেখান থেকে সরাতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সৈকতকে। তার শারীরিক ভাষা, অবয়ব কোনোভাবেই ভালো দেখাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে মুশফিকুর রহিম সেই তর্কে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে মিরাজ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আম্পায়ারদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুল তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে তাওহীদকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেন এবং ইবাদত হোসেনকে তিন ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কিন্তু ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাওহীদ। তিনি আম্পায়ারদের নিয়ে মুখ খোলার হুমকি দেন এবং দেশের আম্পায়ারদের দুয়েকজন বাদে বাকি সবার মান খারাপ এমন কথাও বলেন। তার বক্তব্য বিসিবির নজরে আসার পর শাস্তি মেয়াদ আরো বেড়েছে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতে থেকে থাকলে, তাঁদের উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে।
ভারত থেকে কিছু মানুষকে বিভিন্ন জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। আমাদের দেশের নাগরিক যদি ভারতে থাকেন, তাহলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠালে আমরা নেব। কিন্তু তাঁদের জঙ্গলের ভেতর ও নদীতে ফেলে যাওয়া কোনো সভ্য দেশের আচরণ হওয়া উচিত নয়।’
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঈদ–পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে মারধর করলে পুলিশকে খুব সচল বলে ভাবা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এমন পুলিশ চাইছে না। আমরা মানবিক পুলিশ চাচ্ছি, যারা সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। এখনকার পুলিশ হচ্ছে মানবিক পুলিশ। তারা এখন ভালো ব্যবহার করে দেখেই সাধারণ জনগণ ভাবছে, পুলিশ সচল হয়নি। বর্তমান পুলিশ কিন্তু আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয়।’
আরও পড়ুন২৪ দিনে ১১৪৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ০১ জুন ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে অনুযায়ী প্রস্তুত রয়েছে।’
আরও পড়ুনভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা০৩ জুন ২০২৫