সেনাপ্রধানের ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন
Published: 14th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশনার আয়োজন করে। সেখানে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।
সোমবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময়ন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আরো পড়ুন:
রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
দেশজুড়ে নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে। পয়লা বৈশাখে ঐক্য, সম্প্রীতির বার্তা এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বার্তা উচ্চারিত হচ্ছে উৎসব উদযাপনের আয়োজনগুলোতে।
পয়লা বৈশাখে ঢাকার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনায় নববর্ষ উদযাপন চলছে।
জাতীয় মন্দিরে নববর্ষের অনুষ্ঠান মঞ্চে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
এ সময় দেশবাসীর প্রতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও জাতীয় ঐক্যের বার্তা দেন তিনি।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পয়ল ব শ খ নববর ষ নববর ষ মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’