পুরোদমে চলছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, জিম্বাবুয়ে আসছে মঙ্গলবার
Published: 14th, April 2025 GMT
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতির ক্যাম্প পুরোদমে চলছে। গতকাল ১০ ক্রিকেটারকে নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হয়েছিল। আজ স্কোয়াডের বাকি সবাইকে নিয়ে ক্যাম্প করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা শেষে স্কোয়াডের সব ক্রিকেটার এই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। গতকাল অনুশীলনে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহিদুল ইসলাম, জাকির হাসান ও হাসান মাহমুদ। আজ যোগ দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, সাদমান ইসলাম ও নাঈম হাসান।
বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে ব্যাট-বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এক ভিডিও বার্তায়, দলের পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাত সকালেই মাঠে নেমে অনুশীলন শেষ করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরো পড়ুন:
জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ম্যাচ হারার পর ‘সারপ্রাইজড’ হয়েছি: বিজয়
তামিমকে ছাড়া জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরল দল
আগামীকাল মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসে পৌঁছবেন। তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যাবেন সিলেটে। বুধবার বিশ্রামের পর বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিন অনুশীলন করবেন অতিথিরা।
অভিজ্ঞদের ফিরিয়ে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে। দলে ফিরেছেন শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন উইলিয়ামস। ব্যক্তিগত ছুটি শেষে ফিরেছেন আরভিন। মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তাকেও ফেরানো হয়েছে স্কোয়াডে।
চার বছর পর টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে। ২০২০ সালে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার দুইটি ম্যাচই হবে ঢাকার বাইরে। সিলেটে প্রথম টেস্ট ২০ থেকে ২৪ এপ্রিল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে।
জিম্বাবুয়ে ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসছে। এর আগে ২০০১, ২০০৫, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসে টেস্ট খেলেছে তারা। সব মিলিয়ে ১০ টেস্টে আফ্রিকার দলটির জয় দুটিতে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল দ শ জ ম ব ব য় সফর ২২
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone...। অলরেডদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ গানেই পূর্ণতা পায় উৎসব।
এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি।
২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।
ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’
প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’