‘বাংলাদেশি ভাই’ রিশাদকে ‘গেম চেঞ্জার’ বললেন পাকিস্তানি মালিক
Published: 14th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা ছিল, গত শুক্রবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়েই এই টুর্নামেন্টে রিশাদ হোসেনের অভিষেক হবে। কিন্তু রিশাদকে সেদিন একাদশে রাখেনি তাঁর দল লাহোর কালান্দার্স।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কাছে লাহোর ম্যাচটাও হারে একপেশেভাবে। ফখর জামান–শাহিন আফ্রিদিদের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ১৪ বল বাকি রেখে টপকে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ।
প্রথম হারের পর ঠিকই টনক নড়েছে লাহোর টিম ম্যানেজমেন্টের। ইসলামাবাদের বিপক্ষে ব্যাটে–বলে নিষ্প্রভ ডেভিড ভিসাকে বাদ দিয়ে কাল রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে খেলানো হয়েছে রিশাদকে।
পিএসএল অভিষেকেই বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন বাংলাদেশের রিশাদ। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। কোয়েটাকে ৭৯ রানে হারিয়ে লাহোরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
রিশাদের উইকেট উদ্যাপন। কাল রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল