‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন নতুন দেশ গড়ে তুলা সম্ভব হবে’
Published: 14th, April 2025 GMT
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেছেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সচিব বলেন, “ইউনেস্কো কর্তৃক পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রাকে "মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের এই আনন্দ শোভাযাত্রায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে, যা বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার পথে আমাদের অগ্রগামী করবে।”
আরো পড়ুন:
ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব
অনুমতি না নিয়ে কানাডায় চলে যান রাষ্ট্রদূত হারুন, হার্ডলাইনে সরকার
বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব। সারা বছর দেশের মানুষের জীবন আনন্দ এবং সুন্দরভাবে যেনো কাটে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে, সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা দিয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর বর্ষবরণ উৎসব শুরু করা হয়। এছাড়া উৎসব মঞ্চে সংগীত, নৃত্য এবং নাটিকার আয়োজন করা হয়। নগর ভবনের সম্মুখ প্রাঙ্গণে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব।
উৎসবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর কর্মকর্তাসহ বিভিন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় সরক র ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’