সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আর ঝামেলায় পড়তে হবে না সিলেট মহানগর এলাকার ছয়টি থানার বাসিন্দাদের। আজ মঙ্গলবার থেকে তারা ঘরে বসেই সব ধরনের জিডি করতে পারবেন তারা। তাদেরকে থানায় যেতে হবে না। আগে শুধু হারানো ও প্রাপ্তি বিষয়ে অনলাইনে জিডি করা যেত।

পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর ও চাঁদপুর জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে সব ধরনের অনলাইন জিডি সুবিধার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহানগরীর ছয়টি থানায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে অনলাইনে সব ধরনের জিডি সেবা চালুর কথা নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশ অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এসএমপির ছয় থানা হচ্ছে কোতোয়ালী মডেল থানা, জালালাবাদ, এয়ারপোর্ট, শাহপরাণ (রহ.

), দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানা।

কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বিকাশ প্রতারণা, বিভিন্ন ধরনের হুমকি, আশঙ্কাসহ অন্যান্য বিষয়ে জিডি করা যাবে।  প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে সিলেট মহানগরী ও চাঁদপুরে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে হয়ত দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীতে কার্যক্রম শুরু হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!

আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?

ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।

ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’

 চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।

জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ