ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ সপ্তাহেই মস্কো সফরে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেই মূলত মস্কো যাচ্ছেন আরাঘচি।

সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

শনিবার ইরান কাতারের রাজধানী ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে বৈঠকে অংশ নেয় তারই অংশ হিসাবে মস্কো সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

সোমবার তেহরানের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেন, 'ড.

আরাঘচি এ সপ্তাহের শেষ দিকে মস্কো সফরে যাবেন।'

তিনি আরও জানান, এ সফর 'পূর্বনির্ধারিত' এবং এটি 'মাসকাট আলোচনার সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময়ের একটি সুযোগ হবে।'

শনিবারের বৈঠকের পর উভয় দেশই এই একে 'ইতিবাচক' ও 'গঠনমূলক' বলে আখ্যায়িত করে। অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান বিষয়ে খুব শিগগির সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।

ইতোমধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের চুক্তি সফল না হলে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, আগামী শনিবার তেহরান-ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিরা রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ