ভুট্টা ক্ষেতে শিশুর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 15th, April 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রামপুর বিলের ভুট্টা ক্ষেত থেকে জুঁই খাতুনের লাশ উদ্ধার হয়। স্বজনদের ধারণা, জুঁইকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
মারা যাওয়া জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে দাদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় জুঁই। এরপর থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। আজ সকালে রামপুর বিলের ভুট্টা ক্ষেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষত চিহ্ন ও পড়নের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিহত জুঁইয়ের মা মমিনা খাতুন বলেন, “মেয়েটা গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। সে মাঝেমধ্যে পার্শ্ববর্তী তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতেও সেখানে থাকতো। সোমবার রাতে ওর দাদার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে সেখানে যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি আমরা।”
তিনি আরো বলেন, “আজ সকালে বাড়ির পাশের ভুট্টা খেতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। যে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমরা তার বিচার চাই।”
নিহতের দাদি জহুরা খাতুন বলেন, “আজ সকালে মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে আমি ভুট্টা ক্ষেতে যাই। সেখানে জুঁইয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। কে যে আমার নাতনীর সর্বনাশ করলো? আমরা তার ফাঁসি চাই।”
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, “স্বজনরা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায়। তবে, তার লাশ উদ্ধার হয়েছে চাটমোহর মৌজায়। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ উদ্ধারসহ আইনগত প্রক্রিয়া চলামন।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ অভ য গ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।