দুটি বিস্ফোরক ও একটি হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের আট নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত মামলা পর্যালোচনা করে তাদের প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুন নূর এই আদেশ দেন।

মানিকগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.

আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালতে আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ (৫০), ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজ (৪৫), উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৩৬), সিংগাইর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (২৩), বলধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল মেম্বার (৪৫), প্রচার সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন (৩৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন (৪৯) ও আনোয়ার হোসেন (৪৪)।

কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, “দুটি বিস্ফোরক ও একটি হত্যা মামলায় আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের কারা কারা পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/চন্দন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে 

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে নেয়ার আগে উপ‌স্থিত বিএনপি ‌নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি চেয়ে বি‌ভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএন‌পি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বা‌হিনীর সদস্যরা টহল দেয়।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে 
  • বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
  • বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে