বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় আ.লীগের ৮ নেতা কারাগারে
Published: 15th, April 2025 GMT
দুটি বিস্ফোরক ও একটি হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের আট নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত মামলা পর্যালোচনা করে তাদের প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুন নূর এই আদেশ দেন।
মানিকগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.
আদালতে আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ (৫০), ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজ (৪৫), উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৩৬), সিংগাইর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (২৩), বলধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল মেম্বার (৪৫), প্রচার সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন (৩৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হোসেন (৪৯) ও আনোয়ার হোসেন (৪৪)।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, “দুটি বিস্ফোরক ও একটি হত্যা মামলায় আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের কারা কারা পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।