কুমিল্লার দেবিদ্বারে ধান মাড়াইয়ের কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের (নোয়াপাড়া) একটি কৃষি জমিতে ঘটনাটি ঘটে।

দেবিদ্বার থানার ওসি সামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

মারা যাওয়া নারীর নাম আলেয়া বেগম (৪০)। তিনি একই গ্রামের মো.

নজরুল ইসলামের স্ত্রী। 

আরো পড়ুন:

মধ্যপাড়া পাথর খনির ভূগর্ভে শ্রমিকের মৃত্যু

গাজীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের

মরিচা গ্রামের বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন জানান, আজ বিকেলে আলেয়া বেগম নিজের জমি থেকে ধান কেটে তা ক্ষেতেই মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এসময় তার সঙ্গে পরিবারের অন্যরাও কাজ করছিলেন। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।   

নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম বলেন, ‍“আমরা সবাই ধান মারাই করছিলাম, এমন সময় আকাশ কালো হয়ে আসে, ঝড় শুরু হলে বজ্রপাতে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়।”

দেবিদ্বার থানার ওসি সামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “বজ্রপাতে এক নারী মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।” 

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান বলেন, “বজ্রপাতে নিহত নারীর পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। আমরা তার পরিবারের খোঁজ নিচ্ছি।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ