ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে সমীকরণের প্যাচে জ্যোতিরা
Published: 17th, April 2025 GMT
আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসরের টিকিট পেতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জোর সম্ভাবনা তৈরি করে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরে সমীকরণের প্যাচে পড়ার শঙ্কায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
বাংলাদেশ ৬ দলের এই লড়াইয়ে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে। গ্রুপ পর্বে জ্যোতিরা শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হারলে সমীকরণের ফাঁদে পড়ে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ হারলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় ব্যবধানে থাইল্যান্ডকে হারালে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ড জিতলে তিন দলের সমান ৬ করে পয়েন্ট হবে। রবিন রাউন্ড পদ্ধতির বাছাইপর্বে পয়েন্ট সমান হলে নেট রান রেটের ভিত্তিতে দুই দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। নেট রান রেটে অবশ্য এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার লাহোরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ ওভার থাকতে জয় তুলে নেয়। ৭৪ রানে তাদের ৩ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় জয় তুলে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করেছেন ওপেনার ফারজানা হক ও তিনে নামা শারমিন আক্তার। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ফারজানা ৪২ রান করে ফিরে যান। শারমিন ৭৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি চারের শট মারেন তিনি।
কিন্তু মিডল অর্ডারে জ্যোতি (৫), ঋতুমনি (১৫), স্বর্ণা আক্তার (৬) ও ফাহিমা খাতুন (৯) ব্যর্থ হওয়ায় সংগ্রহ বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। লোয়ারের নাহিদা আক্তার ২৫ ও রাবেয়া খান ২৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ’র ওপরে নিয়ে যান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের পাঁচ ব্যাটার ছোট ছোট রান করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। হার না মানা ফিফটি করেছেন সিনেল্লা হেনরি। তিনি ৪৮ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ওপেনার কিয়ানা জোসেপ ৩১, তিনে ব্যাট করা সীমাইন ক্যাম্পবেলা ২৪, স্টিফেন টেইলর ৩৬ ও হেইলি ম্যাথিউস ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তার দুই উইকেট নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক