টেলিযোগাযোগ খাত সংস্কারে গ্রাহকের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, বিটিআরসি চেয়ারম্যান
Published: 17th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেছেন, ইন্টারনেটকে সহজলভ্য এবং গুণগত মান বাড়াতে বিটিআরসি কাজ করছে। টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারে গ্রাহকের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নগরীর একটি হোটেলে খুলনা বিভাগের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও অন্যান্য টেলিকম অপাটেরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) খুলনা বিভাগের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকার দাশ ও বিটিআরসির উপ-পরিচালক রাইসুল ইসলাম।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারনেট ও টেলিকম সেক্টর সবার মাঝে সহজবোধ্যভাবে তুলে ধরতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা আইএসপিদের প্রশিক্ষণেও সহযোগিতা করা হবে। নতুন লাইসেন্সে নীতিমালাটি টেকসই করতে গ্রাহকদের স্বার্থকে প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় আইএসপিদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইএসপির এক্সিস্টিং ক্যাটাগরি বজায় রাখা, জাতীয় সম্পদের অপচয় রোধে এবং কিউওএস বৃদ্ধিতে একটিভ শেয়ারিংয়ের অনুমতি, ভালো মানের রাউটার অল্প দামে পাওয়ার ব্যবস্থা, তৃণমূল আইএসপিদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, ফাইবার সংযোগে আইএসপিদের একচেটিয়া অধিকার রাখা এবং বিটিআরসির সেবাকে আরও বেশি ডিজিটালাইজড করা।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ট আরস আইএসপ দ র ব ট আরস
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।