হায়দরাবাদের বিপক্ষে ধীর উইকেটের সুবিধা নিল মুম্বাই
Published: 18th, April 2025 GMT
টস জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া কন্ডিশনের পূর্ণ সুবিধা নেয়। দারুণভাবে তা কাজে লাগিয়ে আসরের তৃতীয় জয় তুলে নেয় মুম্বাই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অস্বাভাবিকভাবে ধীরগতির উইকেটে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বাই। সফরকারীদের ইনিংস ৫ উইকেটে ১৬২ রানে সীমাবদ্ধ থাকে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শিশিরের সামান্য সাহায্যে ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে নিয়েই ১৬৬ রান করে ফেলে মুম্বাই।
এই ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেন মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস, এই ইংলিশ ক্রিকেটার মৌসুমের শুরুতে নিষ্প্রভ ছিলেন। নিজের ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন কেন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তবে অফস্পিনটা আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। জ্যাকস হায়দরাবাদের বাঁহাতি টপ থ্রির বিপক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
জ্যাকসের এই তিন ওভার মুম্বাইকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের সার্ভিস না পাওয়ার ক্ষট ভুলিয়ে দেয়। স্বাগতিকরা তাদের ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার কর্ণ শর্মাকে ইনজুরির কারণে এক বলও করানোর আগেই হারিয়ে ফেলে। যিনি আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা ছিলেন। কর্ণের বদলে কোনো বোলার আনা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় মুম্বাই ব্যাটিংয়ের শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে নামাতে পারে। যিনি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই গতি এনে দেন।
আরো পড়ুন:
ধোনি ম্যাজিকে পাঁচ ম্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়
১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির ৫৯ রান তুলেও ১৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯৫ রান। শেষমেশ ১৬২ রানের পুঁজি পায় তারা। অষ্টম থেকে থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত মাত্র চারটি চার মারতে পারে সফরকারী দল। হাইনরেখ ক্লাসেন ও নীতিশ কুমার রেড্ডি মিলে এই সময়ে ৩১ রান তোলেন ৩৩ বলে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে রেড্ডি সাজঘরে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫/৪।
শেষ তিন ওভারে আসে ৪৭ রান। শিশিরের প্রভাব বোঝা যায় সাতটি ফুলটস থেকে, যদিও বুমরাহের এক ফুলটসে ক্লাসেন বোল্ড হয়ে যান। তিনি ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন। তবে শেষের দিকে ক্লাসেন, অনিকেত বর্মা ও প্যাট কামিন্স মিলে পাঁচটি ছক্কা মারলে দেড়শর উপর রান পায় হায়দরাসবা। ১৮ ও ২০তম ওভারে আসে ২১ ও ২২ রান।
অভিষেক শর্মা ২৮ বলে ৪০, ট্র্যাভিস হেড ২৯ বলে ২৮ আর ক্লাসেনের ২৮ বলে ৩৭ ও অনিকেত করেন ৮ বলে ১৮ রান। বুমরাহ ও বোল্ট যথাক্রমে ২১ ও ২৯ রান খরচ করে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রোহিত ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ করে আউট হন। রায়ান রিকেলটন ও উইল জ্যাকস জুটি মিলে ৩৭ রান তুলে বোর্ডে। রিলেকটন ২৩ বলে ৩১ করে ফিরে যায়। সেখান থেকে জ্যাকস ও সুর্যকুমার যাদব ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। শেষদিকে কামিন্স এই জুটি ভাঙলেও, হার্দিক ১ ছয় ও ৩টি চার মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। যদিও ১৮তম ওভারে মালিঙ্গা ১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয় মুহুর্তের জন্ম দেন। তবে ১৯তম ওভারের শুরুতেই জয় তুলে নেয় মুম্বাই। কামিন্স ২৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ