জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে নোয়াখালীতে আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাইমুড়ী উপজেলার দেউটি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গুনশিং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে বিরোধ ছিল আবুল কাশেমের। গতকাল বিকেলে বিষয়টি নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গাছের ডাল দিয়ে আবুল কাশেমকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে আবুল কাশেম অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন, তাঁদের ধরতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন