বেঙ্গালুরুর জন্য ঘরের মাঠ বিভীষিকা
Published: 19th, April 2025 GMT
পাঞ্জাব কিংস আইপিএলের চলমান মৌসুমে তাদের রূপকথার মতো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে একটি লো স্কোরিং ম্যাচে দারুণ জয় অর্জন করে তারা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে আরেকটি হার আরসিবির। এই মৌসুমে নিজেদের মাঠ চিন্নাস্বয়ামী স্টেডিয়ামে জিততেই পারছে না বিরাট কোহলিরা।
শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব দাঁড়াতেই দেয়নি রজত পাতিদারের বেঙ্গালুরুকে। আরসিবি বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৪ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৯৫ রানের পুঁজি পায়। ১১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বেঙ্গালুরু। কাপ্তান পাতিদার করেন ১৮ বলে ২৩ রান। অন্যদিকে ডেভিড করেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে করেন ৫০। এই দুজন ছাড়া অন্য কোন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের দেখা পায়নি।
আরো পড়ুন:
‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’
আরো একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ছোট ছোট ইনিংসে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। প্রিয়াংশ আর্যের ১১ বলে ১৬, প্রভসিমরান সিং ৯ বলে ১৩, জশ ইংলিশ ১৭ বলে ১৪ করে আউট হন। এরপর নেহাল ওয়াধেরা ঝড় তুলে দলকে সহজ জয় এনে দেন। ১৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কার মারে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন ২ বলে ৭ রান করা মার্কাস স্টয়নিস।
এই জয়ের ফলে পাঞ্জাব পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে উঠে এসেছে। ৭ ম্যাচে ৫ জয় শ্রেয়াসের দলের। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু ৭ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে আছে টেবিলের ৪ নম্বরে। এটি বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে টানা তৃতীয় পরাজয়। তাদের সব জয়ই এসেছে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক