ঈদের তিন সপ্তাহ পরও হলেও এখনো উৎসবের আমেজ ধরে রেখেছে ঈদের সিনেমাগুলো। প্রথম দিকে সিনেপ্লেক্সে কম শো পেলেও সময়ের সঙ্গে বেড়ে চলেছে ‘জংলি’ সিনেমার চাহিদা। তৃতীয় সপ্তাহে আরও বাড়ছে শোর সংখ্যা।

মুক্তির পর থেকে দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠে সিয়াম আহমেদ অভিনীত জংলি। সব শো হাউসফুল যাচ্ছিল। অনেকে টিকিট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। দর্শকদের চাহিদা পূরণ করতে দ্বিতীয় সপ্তাহে জংলির শো বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় সপ্তাহে এসে আরও বাড়ল প্রদর্শনীর সংখ্যা। আজ  থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখা মিলিয়ে ২১টি শো চলবে প্রতিদিন। এ ছাড়া যমুনা ব্লকবাস্টারে চার ও লায়ন সিনেমাসে তিনটি করে মাল্টিপ্লেক্সে মোট ২৮টি শো চলবে জংলি সিনেমার। যা শুরু হয়েছিল মাত্র ১১টি শো দিয়ে। 

শুধু মাল্টিপ্লেক্সেই নয়,সিঙ্গেল স্ক্রিনেও বরবাদের পর শুক্রবার থেকে সর্বোচ্চ হলে চলছে জংলি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি জানান, ‘মুক্তির শুরুতে জংলি সিঙ্গেল স্ক্রিনে মাত্র তিনটি হলে চলেছে। আজ থেকে দেশের ২১টি সিঙ্গেল স্ক্রিনে একযুগে চলবে জংলি। সিঙ্গেল স্ক্রিনের হিসেবে বরবাদের পরই এখন জংলি সর্বাধিক হলে চলছে।  আমার বিশ্বাস জংলির যে দর্শক চাহিদা দেখছি। তাতে পুরোনো অভিজ্ঞতা থেকে বলছি জংলি সত্যিই লম্বা রেসের ঘোড়া। আমি পরাণ পবেশনার দায়িত্বে ছিলাম। সে ছবির বেলায় এমন দেখেছি। আশা করি জংলিও পরাণের মতই আরেকটি হিট সিনেমা হতে যাচ্ছে।’

এদিকে তৃতীয় সপ্তাহে এসে মাল্টিপ্লেক্সে শাকিব খান অভিনীত বরবাদের শো চলছে  ৩৫টি। আর সিঙ্গেল স্ক্রিন রয়েছে শতাধিক। 

এদিকে জংলি সিনেমার আয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়া। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে, প্রথম ১৬ দিনে জংলির আয় প্রায় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। দেশে তুমুল চাহিদার মধ্যে ২৫ এপ্রিল থেকে বিদেশে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। জংলি সিনেমায় সিয়াম আহমেদের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, শিশুশিল্পী নৈঋতা প্রমুখ।

নির্মাতা এম রাহিম বলেন, ‘জংলি এখন প্রতিটি পরিবারের সিনেমা হয়ে উঠেছে। তাদের এই ভালোবাসা কখনো ভোলার নয়। পরিবারের সবাই একসঙ্গে হাসছে, একসঙ্গে কাঁদছে বাংলা সিনেমা দেখে; জংলি দেখে। আমরা নিশ্চিত যে আরও হাজারো-লাখো পরিবারের হাসি-কান্নার কারণ হব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম স য় ম আহম দ ব বল

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল