চকরিয়ায় নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয়ে প্রতারণা, স্বামী–স্ত্রী গ্রেপ্তার
Published: 19th, April 2025 GMT
নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডের একটি বিপণিবিতানের সামনে থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, একটি মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
আজ শনিবার বেলা একটার দিকে চকরিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকিব উর রাজা ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল উপজেলার মোহাম্মদ মিজান (৩৬) ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৭)।
সহকারী পুলিশ সুপার রকিব উর রাজা বলেন, মোহাম্মদ মিজান নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয় দিয়ে চকরিয়া পৌর শহরের স্বপ্নছোঁয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যামেরা ভাড়া নিতে যান। পরবর্তী সময়ে তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে প্রতিষ্ঠানের মালিক চকরিয়া থানা–পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিজান ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা নৌবাহিনীর পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
রকিব উর রাজা আরও বলেন, গ্রেপ্তার মিজানের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর, রাজবাড়ী সদর, মাদারীপুরের শিবচর, কুষ্টিয়া সদর, পাবনা সদর ও কিশোরগঞ্জের তারাইল থানায় প্রতারণার ছয়টি মামলা রয়েছে। মূলত মিজান ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী প্রতারক চক্রের সদস্য। নৌবাহিনীর সৈনিক পরিচয়ে ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা ছিল এই দম্পতির।
সংবাদ সম্মেলনে চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর পরিচয়দানকারী মোহাম্মদ মিজান ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমীর বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিদের বেলা দুইটার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।