আইপিএলে আজ জয়-পরাজয়ের সমীকরণ ছাপিয়ে সবার চোখ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের বৈভব সূর্যবংশীর ওপর। ম্যাচে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের বদলে ওপেন করতে নেমে ইতিহাস গড়েছেন ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সী সূর্যবংশী।

নিলামে আলোচিত এই কিশোরই এখন আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়। শুধু তাই নয়, আইপিএল চালু হওয়ার পর জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবেও আইপিএল ম্যাচ খেলার ইতিহাস গড়লেন সূর্যবংশী। আইপিএল ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করলেও সূর্যবংশীর জন্ম ২০১১ সালে।

এদিন অবশ্য শুধু অভিষেকের রেকর্ড গড়েই থামেননি এই কিশোর। মাঠে তাঁর শুরুটাও সারাজীবন মনে রাখার মতো। শার্দুল ঠাকুরের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলটি ছিল সূর্যবংশীর আইপিএলে খেলা প্রথম বল। আর সেই বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে অসাধারণ এক ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেন এই কিশোর। এরপর এইডেন মার্করামের বলে আউট হয়ে ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান। ফেরার আগে উদ্বোধনী জুটিতে যশ্বসী জয়সোয়ালের সঙ্গে মিলে যোগ করেন ৮৫ রান।

এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে লক্ষ্মৌ সুপারজায়ান্ট। জবাবে শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। হেরে গেছে মাত্র ২ রানে।

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ