চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

বাজারের ব্যবসায়ী জানান, প্রথমে একজন সিএনজির ড্রাইভার দেখে বাজারে আগুন লাগছে। পরে বাজারে আগুন লাগার বিষয়টি মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতা চাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো.

সামছুল আলম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে আসে। কাঠের দোকান, ফার্নিচার ওষুধ, কাপড়ের দোকান মোট ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ