এক সময়ের চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির পতন অব্যাহতই থাকলো। মৌসুমজুড়েই ভুগতে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেট হয়ে গেল। রোববার লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরে পাঁচ ম্যাচ হাতে থাকতেই দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গেছে লেস্টারের।  

৩৩ ম্যাচে মাত্র ৪ জয়, ৬ ড্র এবং ২৩ হার- সব মিলিয়ে সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। ফলে সাউদাম্পটনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ থেকে ছিটকে গেল লেস্টার। তৃতীয় দল হিসেবে অবনমনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইপসউইচ সিটি।  

প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি লেস্টারের পঞ্চম অবনমন। এর আগে তারা নেমেছিল ১৯৯৪–৯৫, ২০০১–০২, ২০০৩–০৪ ও ২০২২–২৩ মৌসুমে। তাদের চেয়ে বেশি (৬ বার) অবনমন হয়েছে কেবল নরউইচ সিটির।  

লেস্টারের হয়ে একাদশে খুব একটা সুযোগ পাচ্ছিলেন না হামজা চৌধুরী। জানুয়ারির শুরুতেই লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে এসেছিলেন হামজা। হামজার বিদায়ের পর লেস্টার যেন আরও বিপাকে পড়েছে। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত লেস্টার যেন গোল করতেই ভুলে গেছে।

এদিকে শেফিল্ডের সামনে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার সুযোগ। বর্তমানে তারা চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে সরাসরি প্রোমোশনের জন্য লিডস ও বার্নলির পিছনে থাকায় প্লে-অফই এখন তাদের ভরসা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই পর্ব পেরোতে পারলে প্রিমিয়ার লিগে ফিরতে পারে তারা।  

সেই ক্ষেত্রে হামজা চৌধুরীর ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। যদি শেফিল্ড প্রোমোশন পায়, তাহলে হয়তো হামজা সেখানেই স্থায়ী হয়ে যেতে পারেন। আবার এমনও হতে পারে- লেস্টার বা শেফিল্ড নয়, বরং নতুন কোনো প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব খুঁজে নেবেন তিনি।  

মাত্র ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের অভিজ্ঞতা এবং স্কিল অনেক দলের মধ্যমাঠের জন্যই হতে পারে আদর্শ সংযোজন। ফলে আগামী মৌসুমে হামজাকে কোথায় দেখা যাবে- সে প্রশ্ন এখন রয়ে গেছে সময়ের জন্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ