আরভিনকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার পেলেন নাহিদ রানা। তার ডেলিভারি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন আরভিন, কিন্তু বল তার ব্যাট স্পর্শ করে যায় জাকেরের গ্লাভসে। জোরালো আবেদন করেন টাইগার ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। আল্ট্রা এজে দেখা যায় বল ব্যাটে স্পর্শ করেছে। ৮ রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ৩৮ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে রয়েছেন শেন উইলিয়ামস ও নতুন ব্যাটার মাধেভেরে।

উইলিয়ামস-আরভিনের প্রতিরোধ, উইকেটের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় তিন ব্যাটারকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিনের ব্যাটে ভর করে শতরানে পেরিয়েছে রোডেশিয়ানরা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়েছে। উইকেটের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।

নাহিদের জোড়া শিকারের পর হাসানের আঘাত

বেনেটকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন নাহিদ রানা। এটি আর নিজেরও দ্বিতীয় উইকেট শিকার। জাকের আলীর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫৭ রান করেন এই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান। নাহিদের জোড়া শিকারের পর ওয়েলচকে (২) বোল্ড করলেন হাসান। ২৩ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তুলে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে রয়েছেন শেন উইলিয়ামস ও নতুন ব্যাটার ক্রেইগ আরভিন।

দিনের শুরুতেই সাফল্য এনে দিলেন নাহিদ রানা

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে শুধু হতাশাই সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর বল হাতে কোনো সাফল্য না পেয়ে দিন শেষ করে তারা। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৭ রান তুলে জিম্বাবুয়ে প্রথম দিনটা একেবারে নিজেদের করে নেয়।

বৃষ্টিভেজা সিলেটের আকাশে সকাল থেকে ছিল মেঘের আনাগোনা। তবু সময়মতোই শুরু হয় খেলা। বল হাতে শুরুটা থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন নাহিদ। দিনের তৃতীয় ওভারেই ফল পেলেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের ওপেনার বেন কারেনকে ফিরিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলালেন টাইগার শিবির। রানার দুর্দান্ত এক শর্ট বলে গা বাঁচাতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন কারেন। ৫৫ বল মোকাবিলা করে ১৮ রান করে ফিরে যান তিনি। ১৮ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে রয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও নতুন ব্যাটার নিকোলাস ওয়েলচ। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ