নাহিদ প্রমাণ করলেন তিনি ‘মেশিনের চেয়ে ভালো’
Published: 21st, April 2025 GMT
গুমোট পরিবেশ। রোদের দেখা নেই। জ্বলছে ফ্লাডলাইট। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মানে পেসাররা যেমনটা চান আর কী! সিলেটের এমন পরিবেশে নাহিদ রানা বুঝিয়ে দিলেন তিনি ‘মেশিনের চেয়ে ভালো’।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেটকে আউট করার পর লাঞ্চের আগে আগে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। নাহিদ তিনটি উইকেটই পেয়েছেন শর্ট বলে।
দলীয় ৬৯ রানে নাহিদের বাউন্সারে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দেন কারেন। যে ক্যাচে রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুলও। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ৪১ টি ক্যাচ ধরার রেকর্ড এখন এই বাঁহাতির।
এরপর নাহিদ ফেরান ফিফটি করা ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে। দারুণ কিছু শট খেলে হয়তো অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন বেনেট। নাহিদের করা পঞ্চম স্টাস্পের শর্ট বলে স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। নাহিদ রানার সঙ্গে উইকেটের কলামে নাম লেখান আরেক পেসার হাসান মাহমুদও। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসা নিকোলাস ওয়েলচকে দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন হাসান।
৮৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আরভিন ও শন উইলিয়ামস প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। গড়েন ৪১ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙতে অধিনায়ক নাজমুল লাঞ্চের মিনিট বিশেক আগে আবার বোলিংয়ে আনেন নাহিদ রানাকে। এই স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে ব্যাক অফ লেংথের বলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেন আরভিন। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন নাজমুল। সফলও হন।
নাহিদের লড়াইটা এখনো যদিও শেষ হওয়ার কথা নয়। যিনি ম্যাচের আগে নাহিদের সঙ্গে বোলিং মেশিনের তুলনা দিয়ে খোঁচা দিয়েছেন, সেই উইলিয়ামস এখনো ক্রিজে। ব্যাটিং করছেন ৩৩ রান নিয়ে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়