চুয়াডাঙ্গায় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
Published: 23rd, April 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গায় ফের মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার ছিল ২৮ শতাংশ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বয়ে যাওয়া মাঝারি তাপপ্রবাহ সাময়িক হলেও এর তীব্রতা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। গরম ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কাও। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। জেলার মানুষ এখন স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া জানান, রাস্তায় রোদ আর গরমে হাঁসফাঁস লাগতেছে। কিন্তু পেটের তাগিদে কাজ ছাড়া উপায় নাই।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গরম
এছাড়াও পড়ুন:
নেশা ও জুয়ায় টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় নেশা ও জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে রুকসানা বেগম (৪০) নামে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাহ আলম শেখের (৫০) বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে উপজেলার লখাইরচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত শাহ আলম একই গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে।
রবিবার (১৫ জুন) রুকসানা বেগম বলেন, “২৫ বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে থেকেই আমাকে আমার স্বামী নির্যাতন করেন। তিনি প্রতিনিয়ত জুয়ার আসরে বসেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন।”
আরো পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
তিনি বলেন, “গতকাল শনিবার রাতে তিনি আমার কাছে জুয়া খেলা ও নেশা করার টাকা চান। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারধর শুরু করেন। বাধা দিতে এগিয়ে আসলে ছেলে সিয়াম আহম্মেদ (১২) ও মেয়ে খাদিজা আক্তার সুচনাকেও (২২) মারধর করেন আমার স্বামী।”
রুকসানা বেগম বলেন, “ঘটনার পর আমাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে শাহ আলম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুর থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “এখন পযর্ন্ত থানায় কোনো আভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ