কাশ্মিরে হামলার প্রতিবাদের পর গম্ভীরকে হত্যার হুমকি
Published: 24th, April 2025 GMT
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এরপরই ইমেইলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি পেলেন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ও সাবেক তারকা ওপেনার।
‘আইসিস কাশ্মীর’ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন ইমেইলের মাধ্যমে এই হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দুইবার ইমেইল পেয়েছেন গম্ভীর। বার্তা ছিল একটিই- ‘আই কিল ইউ’, অর্থাৎ ‘আমি তোমাকে হত্যা করব’।
বুধবার দুপুরে প্রথম ইমেইলটি পাওয়ার পর বিকেলেই আসে দ্বিতীয়টি। এ ঘটনায় গম্ভীর দ্রুতই দিল্লির রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি সেন্ট্রাল দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি)-কেও জানান ঘটনার বিস্তারিত।
গম্ভীর পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তার এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ইমেইল পাঠানো হয়েছে এবং কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গম্ভীর বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের কোচ হলেও তার রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি দলটির সক্রিয় সদস্য। পুলিশের ধারণা, এই রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই হিটলিস্টে থাকতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও গম্ভীর হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। তখনও থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গম ভ র
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এদিন সকল ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সেশনাল ট্যুরের সময় রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আফসানা রিংকির মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে ।”
তিনি বলেন, “এই শোকাবহ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে, সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত আছেন। তিনি নিজে এবং সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি রওনা হয়েছেন।”
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে, সাজেকে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সেশনাল ট্যুর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ ৪র্থ বর্ষ টার্ম-২ এর সেশনাল ট্যুরে অংশগ্রহণরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের হাউসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবিনা আফসানা রিংকী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা সবাই একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস