১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই ক‌রে‌ছেন মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপ‌তি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তি‌নি ব‌লে‌ছেন, বিচারিক এবং বিচারবর্হিভূতভাবে জামায়াত নেতাকর্মীদের নিপীড়ন করা হ‌য়ে‌ছে। অত্যাচার করা হ‌য়ে‌ছে। জামায়াত সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছে, সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে।

শনিবার জাতীয় সংসদের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে জামায়াত ভূমিকা রাখবে আশা করে আলী রীয়াজ বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের সময় জামায়াত কর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন। নেতারা কারাগারে আটক থেকেছেন, লড়াই সংগ্রামে উপস্থিত থেকেছেন।

তি‌নি আরও বলেছেন, সংস্কার কোনো রাজনৈতিক দলের একক বিষয় নয়। জাতির আকাঙ্ক্ষাকে ধারণে সবাই মি‌লে চেষ্টা কর‌ছে। ক‌মিশন ও রাজ‌নৈ‌তিক দলের লক্ষ্য এক। সাফল্য নির্ভর করছে আমাদের সকলের প্রচেষ্টার আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্যে।

সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগ মানুষের দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষার ফল জা‌নি‌য়ে তি‌নি ব‌লেন, রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই সংস্কারের তাগিদ এসেছে। দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। আমাদের এই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া বীর শহীদদের কাছে ঋণ আছে। কোনোভা‌বেই এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়ে যায়। যেন এমন বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি, যেখানে কাউকে নিপীড়নের মুখে না পড়তে হয়। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.

বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল র য় জ জ ম য় ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। 

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম  কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ