লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। শাহ জালাল গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম থেকে শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহ জালাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুল হক বেপারীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

২৭ বাংলাদেশির কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার জাহিদ

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র ইন্তেখাব চৌধুরী

র‌্যাব ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনার চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। 

২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.

শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে, রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি ও মো. মুক্তার।

র‌্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন। তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ