আ.লীগ নেতা হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তর
Published: 26th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। শাহ জালাল গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম থেকে শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহ জালাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুল হক বেপারীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
২৭ বাংলাদেশির কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার জাহিদ
র্যাবের নতুন মুখপাত্র ইন্তেখাব চৌধুরী
র্যাব ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনার চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি ও মো. মুক্তার।
র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন। তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি