জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু আজ, শিক্ষার্থীদের যা যা করণীয়
Published: 27th, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ ও ‘ই’ ইউনিটের প্রথম পর্যায়ে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভর্তি ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো.
বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য ১০ হাজার ৪৩০ টাকা, কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদভুক্ত বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য (ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ ব্যতীত) ১০ হাজার ৪৩০ টাকা, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা, চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা।
ভর্তির জন্য যে যে কাগজপত্র জমা দিতে হবেসংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র; ভর্তি পরীক্ষার প্রত্যবেক্ষক (Invigilator) কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র (Admit Card); অনলাইন থেকে প্রিন্টকৃত ভর্তি ফরম;২ (দুই) কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিষয় নির্বাচনের (Subject Choice) জন্য ৮ থেকে ১৭ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৮১৫।
আরও পড়ুনপিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার, গবেষকেরা মাসে পাবেন ২৫০০০২৬ এপ্রিল ২০২৫‘এ’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসন ৮৬০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৮৪টি, দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৮৭টি এবং তৃতীয় পালায় মোট আসন ২৮৯টি।
‘বি’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসন ৭৮৫টি, প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি, দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯২টি এবং তৃতীয় পালায় মোট আসন ১৯৯টি।
‘সি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসন ৫২০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৩০টি এবং দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯০টি।
‘ডি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসন ৫৯০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি এবং দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯৬টি।
‘ই’ ইউনিটের মোট আসন ৬০টি। ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন। প্রিন্ট মেকিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন। ভাস্কর্য বিভাগের জন্য ২০টি আসন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ব ত য় প ল য় ম ট আসন প রথম প ল য় ম ট আসন ল র জন য ইউন ট র বর ষ র র ভর ত
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়: আইন উপদেষ্টা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার গঠিত কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আজ বিকেলে পর্যালোচনা কমিটি বৈঠকে বসবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি তখন (অধ্যাদেশটি অনুমোদনের সময়) বিদেশে ছিলাম। আমি আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। তো পরবর্তীকালে যখন আমি আইনটি দেখেছি, তারপর আমার কাছে মনে হয় যে, অবশ্যই এটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।’
আরও পড়ুনসচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের৩৪ মিনিট আগেসরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশটি করেনি বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তিনি শুধু একটা কথা বলতে পারেন, সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে করা না হলেও কোনো আইনে এমন বিধান থাকতে পারে, যেটা যাঁরা আইনের সাবজেক্ট, তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, তাঁরা বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটি আমরা স্বীকার করি যে, এ রকম সম্ভাবনা এই আইনে থাকতে পারে।’
পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা জানান, কমিটি আজ বিকেল চারটায় বৈঠকে বসে সরকারি কর্মচারীরা যেসব দাবি দিয়েছেন, সেগুলোর কী কী বিবেচনা করা হবে, কীভাবে করা হবে, তা ঠিক করা হবে। ঠিক করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটি একটি প্রতিবেদন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলবে। কমিটি শুধু প্রতিবেদন দেবে। কমিটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না।
এ রকম পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কর্মসূচি দেওয়ার জন্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কমিটির কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে (কর্মসূচি) দেন। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, সেটি লক্ষ্য রাখার জন্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর আজ সোমবার আবার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে তাঁদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার ঈদের ছুটি শুরু আগে আগে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে এ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।