ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতের ভেতরে পড়েছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
Published: 27th, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি বিজিবি। মরদেহটি যেখানে পাওয়া গেছে, সেটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার মধুপুর এলাকা। এর বিপরীতে বাংলাদেশের মহেশপুরের গোপালপুর গ্রাম।
মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃতদেহটি গোপালপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের বলে আমরা জেনেছি। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে কারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। ঘটনাটি দিবাগত রাত একটার দিকে ঘটে।’
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশি মহেশপুর সীমান্তের যাদবপুর এলাকাসংলগ্ন গোপালপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা চোরাকারবারি দলের সদস্য। সে সময় ভারতের অভ্যন্তরে অন্য কয়েকজন চোরাকারবারির সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। সেখানে কারও দ্বারা তাঁরা আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে আজ সকালে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের ওপারে আঘাতপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বিএসএফ মারফত তাঁরা জানতে পারেন, সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারেননি। বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।