ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এসিআই নিউট্রিলাইফ প্রেজেন্টস হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মার্কেটিং ফেস্ট ২.০’। গত শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ উৎসবে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা ও সুস্থতা খাতের প্রধান নির্বাহী, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, ব্র্যান্ড পেশাজীবী ও মার্কেটিয়াররা একত্র হয়েছিলেন।

এবারের মূল ভাবনা ছিল ‘বিল্ডিং ব্র্যান্ডস দ্যাট হিল, হারনেস অ্যান্ড হারমোনাইজ’। ব্র্যান্ড কেবল পণ্য নয়, তারা কীভাবে সমাজে সুস্থতা ও সহমর্মিতা তৈরির শক্তি হয়ে উঠতে পারে—এটাই ছিল মূল আলোচনার বিষয়। আয়োজনটির সহযোগিতায় ছিল সুখী ও আকিজ হেলথপ্লাস এবং অংশীদার হিসেবে ছিল একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

এবারের উৎসবে ৯টি বিষয়ে ২৯ জনের বক্তব্যে উঠে আসে স্বাস্থ্যসেবার ব্র্যান্ডিং, গ্রাহকের আস্থা অর্জন, প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি এবং সচেতনতাভিত্তিক বিপণনের বিভিন্ন দিক। একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় সিএমও বাংলাদেশ সাময়িকীর দ্বিতীয় সংখ্যা, যেখানে স্থান পেয়েছে বাজারচিন্তার সর্বশেষ উদ্ভাবন এবং ১০ জন শীর্ষ মার্কেটিয়ারের জীবন ও অভিজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে এসিআই নিউট্রিলাইফের চিফ বিজনেস অফিসার ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য। এ ধরনের আয়োজন সমাজে টেকসই পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।’

গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আরমান সিদ্দিকী বলেন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা এখন আর ঐচ্ছিক নয়, এটি ব্র্যান্ডের মানবিক সংযোগের অন্যতম স্তম্ভ। এই আয়োজন ব্র্যান্ডগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ববোধের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

আকিজ হেলথপ্লাসের হেড অব অপারেশনস সাঈদুর রহমান বলেন, ‘এই ফেস্ট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সত্যিকারের কেয়ার করেন, এমন মানুষেরা একত্র হয়েছেন। আমরা এখানে এসেছি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনে কার্যকর পরিবর্তন আনতে।’

আরও বক্তব্য দেন একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিপণন প্রধান সৈয়দা উম্মে সালমা, ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মুহাম্মদ ইলিয়াস, ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান খাদিজা আল তাহিরা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফেরদৌস বাপ্পী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক