চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
Published: 29th, April 2025 GMT
চার ম্যাচ হাতে রেখে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। এটা নিয়ে ২০তম বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। তাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লিগ জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছে রেডরা। রোববার ঘরের মাঠে টটেনহামকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেই শিরোপা নিশ্চিত করে লিভারপুল।
সেই ম্যাচের পর উৎসবে ভাসছে লিভারপুল। খেলোয়াড়েরাও ভাসছেন আনন্দ-সরোবরে। তবে এমন আনন্দ-উৎসবের মধ্যেও দলটির কিছু খেলোয়াড়ের মন খারাপ থাকতেই পারে। মন খারাপের কারণটা অবশ্যই যৌক্তিক। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, কিন্তু ওই খেলোয়াড়েরা শঙ্কায় চ্যাম্পিয়নের পদক গলায় ঝোলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে।
প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম হলো চ্যাম্পিয়নের পদক পেতে হলে পুরো মৌসুমে কমপক্ষে ৫টি ম্যাচে মাঠে নামতে হবে। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকে ৪০টি পদক দেয়। নিয়ম মেনে পদক বিতরণের পর চাইলে হাতে থাকা পদক অন্য খেলোয়াড়দের দিতে পারে।
লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খেলোয়াড়দের উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু