নিখোঁজের দু’দিন পর মাদ্রাসাশিক্ষকের লাশ উদ্ধার, দ্বিতীয় স্ত্রী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ
Published: 29th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের দু’দিন পর শেখ আল কালাম আজাদ (৬১) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী তিথি আক্তার (২৮), শাশুড়ি রাফেজা বেগম ও মেগচামীর খালপাড়ি গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে রাসেল শেখকে (২৮) থানায় নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি বিল সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়। এর আগে গত রোববার তিনি নিখোঁজ হন।
নিহত শেখ আল কালাম আজাদ মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের চরবামুন্দি ইয়াসিন আলী দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ শিমুলের বাবা।
তানভীর আহমেদ শিমুল বলেন, ‘গত রোববার সন্ধ্যার দিকে মধুখালীর বিলআড়ালিয়া বাজার থেকে নিখোঁজ হন বাবা। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার মধুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।’
থানা সূত্রে জানা যায়, জিডির সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী তিথি আক্তার (২৮), তার শাশুড়ি ও রাসেল শেখকে থানায় নেয় পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মধুখালী থানার ওসি মো.                
      
				
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন