ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর, ২০২৬ সালের এশিয়ান গেমসেও থাকছে ক্রিকেট ইভেন্ট। অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়া (ওসিএ) তাদের ৪১তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ওই সভাতেই নিশ্চিত করা হয়েছে বিষয়টি। ২০২৬ সালে জাপানের আইচি-নাগোয়ায় বসছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের আসর। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই আসর। 

এশিয়ান গেমসে এটি হবে চতুর্থবারের মতো ক্রিকেটের উপস্থিতি। এর আগে ২০১০ সালে চীনের গুয়াংঝু ও ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠিত আসরেও ছিল ক্রিকেট, যদিও তখন ম্যাচগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ৮ বছর পর, ২০২৩ সালের চীনের হাংঝু এশিয়ান গেমসে আবারও ফিরেছিল ক্রিকেট। সেই আসরে ম্যাচগুলো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পায়।

২০২৩ সালের হাংঝু গেমসে পুরুষদের বিভাগে স্বর্ণ জিতে ভারত, রৌপ্য পায় আফগানিস্তান এবং ব্রোঞ্জ ঘরে তোলে বাংলাদেশ। নারীদের বিভাগেও সেরা হয় ভারত। বাংলাদেশ পায় ব্রোঞ্জ, আর শ্রীলঙ্কা পায় রৌপ্য। ওই আসরে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই অংশ নিয়েছিল আরও কয়েকটি দেশ—পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া।

এদিকে ক্রিকেট কেবল এশিয়ান গেমসেই নয়, জায়গা করে নিয়েছে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকেও। সেখানে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই প্রতিযোগিতা হবে ছয়টি করে দলের। তবে অংশগ্রহণকারী দল বাছাইয়ের পদ্ধতি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি

জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্য জুনে পরিস্থিতি এমন হয়নি। সে বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ছিল।

গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। আরও একজনের মৃত্যুর কথাও বলেছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৯ জন।

গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।

ঢাকা মহানগরে কম

অন্য প্রায় সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো. হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আমরা আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?
  • ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন গুণ
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • প্রধান উপ‌দেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়া‌তে ইসলামী
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আনচেলত্তির ব্রাজিল
  • প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে