বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এবারো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় উঠে এসেছে এই তারকার নাম। ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিস্টিকস এই তালিকা প্রকাশ করেছে।

এ তালিকার সবার উপরে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের নাম। তার মোট অর্থের পরিমাণ ১.

৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ‘দ্য রক’খ্যাত মার্কিন অভিনেতা ডোয়াইন জনসন। তার অর্থের পরিমাণও ১.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা টম ক্রুজ। যার সম্পদের পরিমাণ ৮৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
এ তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন ভারতের বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। তার সম্পদের পরিমাণ ৮৭৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা-পরিচালক জর্জ ক্লুনি। যার সম্পদের পরিমাণ ৭৪২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৬ষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম স্থানে যথাক্রমে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা-নির্মাতা রবার্ট ডি নিরো (৭৩৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), মার্কিন অভিনেতা-প্রযোজক ব্র্যাড পিট (৫৯৪.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), মার্কিন-পরিচালক জ্যাক নিকোলসন (৫৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। নবম ও দশম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন— বিশ্বের কোটি ভক্তের পছন্দের তারকা টম হ্যাঙ্কস (৫৭১.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও চাইনিজ অভিনেতা জ্যাকি চ্যান (৫৫৭.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের সঙ্গে দীপিকার পঞ্চম মিশন

বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন শাহরুখের স্ত্রী

শাহরুখ খান বেশ কিছু নামি পণ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে আইসিআইসি, লাক্স, হুন্দাই, এয়ারটেল প্রভৃতি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাকে পারিশ্রমিক হিসেবে ৫.৫-১০ কোটি রুপি প্রদান করে থাকে। তাছাড়া এ অভিনেতার রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ম ণ অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার

২০০৫ ও ২০১৭, ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। হারমানপ্রীত কৌররা লম্বা সেই অপেক্ষা দূর করলেন দুই হাজার পঁচিশে।

মুম্বাইয়ের নাভিতে প্রায় ষাট হাজার দর্শকের সামনে উচিুঁয়ে ধরলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। ২০১৭ সালের ফাইনালেও খেলেছিলেন হারমানপ্রীত। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এবার আর ভুল করলেন না। অধিনায়ক হয়ে জিতলেন শিরোপা। গড়লেন ইতিহাস। যে ইতিহাস কখনো মুছবে না। কখনো জং ধরবে না।

ঝলমলে হাসিতে হারমানপ্রীত ট্রফি হাতে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন। এবার তার আবেগের ধরণ ছিল ভিন্ন, যেন স্বপ্ন পূরণের মাখামাখি। লম্বা সংবাদ সম্মেলন জুড়ে বারবার তার কণ্ঠ ধরে আসে। আবেগ, রোমাঞ্চ, গর্ব, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তবে একটি শব্দের ওপর বারবার ফিরে আসছিলেন তিনি, তা হলো আত্মবিশ্বাস,
‘‘আমি কেবল আমার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আমি স্তম্ভিত, আমি বুঝতে পারছি না। আসলে, এতে উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি প্রথম দিন থেকেই এটা বলে আসছি। আমরা বাম বা ডানে তাকাচ্ছিলাম না। আমরা কেবল আমাদের মূল লক্ষ্যের দিকে তাকিয়েছিলাম।’’ - বলেছেন হারমানপ্রীত।

স্বপ্ন পূরণের রাতে হারমানপ্রীত কাছে পেয়েছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেটার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী এবং অঞ্জুম চোপড়াকে। প্রত‌্যেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর। তাদের অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জেমিমা, দীপ্তি, শেফালি, স্মৃতিরা।

শিরোপা উৎসবে যোগ দেন মিতালি, ঝুলন, আঞ্জুমরা। তাদের হাতেও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সাথে সেই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হারমানপ্রীত বলেন, ‘‘ঝুলন দি আমার সবচেয়ে বড় আইডল ছিলেন। যখন আমি দলে যোগ দিই, তখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমি যখন খুব কাঁচা ছিলাম এবং ক্রিকেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, তখনও তিনি সবসময় আমাকে সমর্থন করতেন। অঞ্জুম দি-ও তাই। এই দুজন আমার জন্য দারুণ সমর্থন ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি তাদের সাথে এই বিশেষ মুহূর্তটি ভাগ করে নিতে পেরেছি। এটি খুব আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। আমার মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে, আমরা এই ট্রফি স্পর্শ করতে পেরেছি।’’

তার জন‌্য বিশ্বকাপের পুরো অভিযানটিই ছিল গভীরভাবে আবেগপূর্ণ। রাউন্ড রবিন লিগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম‌্যাচ হার। চোট, অফ ফর্ম, জড়তা। সব সামলে সেরা হয়েছেন। তাইতো নিজেদের নিয়ে গর্বটাও বেশি হারমানপ্রীতদের, ‘‘আমরা প্রথম বল থেকেই অনুভব করেছিলাম যে আমরা জিততে পারি, কারণ শেষ তিন ম্যাচে আমাদের দল যেভাবে খেলছিল, তাতে আমাদের জন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছিল, বিশেষ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস। আমরা অনেকদিন ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমরা জানতাম দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি।”

"গত এক মাস খুব আকর্ষণীয় ছিল। সেই দিনটির (ইংল্যান্ডের কাছে হারের) পর আমাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। সেই রাত আমাদের জন্য অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল। এটি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল। আমরা বিশ্বকাপের জন্য আরও প্রস্তুত হলাম। আমরা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং মেডিটেশন শুরু করেছিলাম। আমরা বারবার বলছিলাম, যে জন‌্য আমরা এখানে এসেছি এবং এবার আমাদের এটা করতেই হবে।" - যোগ করেন হারমানপ্রীত।

প্রথম যে কোনো কিছুই আনন্দের। রোমাঞ্চের। এই অভিজ্ঞতা শব্দে বয়ান করা যায় না। বয়ান করা সম্ভব হয় না। হারমানপ্রীতও পারেন না নিজের সবটা উজার করে বলতে। তবে এই শিরোপায় তাদের নাম লিখা হবে সেই আত্মবিশ্বাস তারও ছিল, ‘‘আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি—আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু আমাদের একটি বড় শিরোপা জিততেই হতো।"

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ