লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেতর দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ফেরত দেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার মহাস্থান গড় বকুল তলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২২) ও পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাফিজ হোসেনের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।

শুক্রবার ৮ ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে থাকা ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবির আহ্বানে তাদের ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।

ইমন ও সাজেদুলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ ওই দুজনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। দেশে আসার পর তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছবি তুলতে গিয়ে ভুলে’ সীমান্ত অতিক্রম, বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি কিশোর আটক, পরে ফেরত
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ