৮ ঘণ্টা পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
Published: 3rd, May 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেতর দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
ফেরত দেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার মহাস্থান গড় বকুল তলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২২) ও পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাফিজ হোসেনের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে থাকা ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবির আহ্বানে তাদের ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।
ইমন ও সাজেদুলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ ওই দুজনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। দেশে আসার পর তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কুশুমপুর বিওপির আওতাধীন পিপুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে তারা।
গুলিবিদ্ধ রিয়াজ পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হালকা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য রিয়াজ তাদের ধানের জমিতে যান। জমিটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেসময় ওপার থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায়ে একটি ছররা গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, রিয়াজ নামের এক ব্যক্তি আহতের কথা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাউকে পাইনি। তবে ঘটনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।