বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি ও ইইউ
Published: 5th, May 2025 GMT
ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৫০ মিলিয়ন বা ৩৫ কোটি ইউরোর কাঠামোগত ঋণ অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অতিরিক্ত ৪৫ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে। পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস ও অভিযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করাই এসব প্রকল্পের লক্ষ্য।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৮তম বার্ষিক সভা চালাকালে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করা।
গতকাল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) সভাপতি নাদিয়া কালভিনোর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে ইআইবির চলমান সহায়তার পরিধি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে এই ঋণ ও অনুদানের অনুমোদন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ইআইবি ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাঠামোগত চুক্তির আওতায় কাজ করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের ছয়টি চলমান প্রকল্পে প্রায় ৬৩৫ মিলিয়ন বা ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করেছে। ইআইবি মূলত ইইউ সদস্যদেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ইইউর উন্নয়ন সহযোগিতা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অবকাঠামো খাতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই বিনিয়োগ অপরিহার্য। তিনি ইইউ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের কৌশলগত খাতগুলোতে আরও বেশি অনুদানভিত্তিক অথবা স্বল্প সুদের ঋণসহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া অর্থ উপদেষ্টা জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। জেবিআইসি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প অর্থায়ন, কৌশলগত অংশীদারি ও বিনিয়োগ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। জেবিআইসির উল্লেখযোগ্য অর্থায়নের মধ্যে রয়েছে ডিএপি-২ সার কারখানা (যার সম্পূর্ণ পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ ৭১৫.
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইয়িংমিং ইয়াং, ওপেক ফান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্য অ্যাগ্রিকালচার ইনোভেশন মেকানিজম ফর স্কেলের (এআইএম ফর স্কেল) ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে। এই সভাগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প ইউর প য় অন দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
পাকিস্তান আজ শনিবার আবদালি ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থার সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন ও গতি-সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত দিকগুলো পরীক্ষা করা।
আইএসপিআর জানায়, এই উৎক্ষেপণ ‘এক্স সিন্ধু’ নামে একটি সামরিক মহড়ার অংশ ছিল। মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন আর্মি স্ট্র্যাটিজিক ফোর্সেস কমান্ডার (এএফএসসি), স্ট্র্যাটিজিক প্ল্যান ডিভিশন ও এএফএসসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এবং পাকিস্তানের কৌশলগত সংস্থাগুলোর বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা।
পাকিস্তানের আইএসপিআর ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এই সফল উৎক্ষেপণের জন্য সেনা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানান।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীর প্রস্তুতি ও প্রায়োগিক দক্ষতায় পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন তাঁরা।
ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে ঘিরে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে, ঠিক তখন ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালানো হলো। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পর্যটক ছিলেন। এটিকে ২০০০ সালের পর অন্যতম ভয়াবহ হামলা বলা হচ্ছে।
পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে ভারত দাবি করেছে, এই হামলার সঙ্গে আন্তসীমান্ত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রমাণহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।