ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাকিব (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত সাকিব কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (৪ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে মাদলা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন সাকিব। তিনি সীমান্তপাড়ে চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, গত ৪ মে রোববার রাত পৌনে ১২টায় সাকিব গুলিবিদ্ধ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল ইসলাম জানান, সাকিব চোরাই মোটরসাইকেল কারবারের সদস্য। তিনি ভারত থেকে মোটরসাইকেল আনার পথে সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন।
এ ব্যাপারে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ান কমান্ডারকে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাটগ্রামের ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম রিমন ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে। শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর নিরাপদে দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন এলাকায়, কাঁটাতারের বেড়ার এপারে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানাচ্ছিলেন রিমন ও সাজেদুল। সেসময় কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত দিতে রাজি হয়।
ফেরত আসা রিমন ও সাজেদুল জানিয়েছেন, আটকের পর বিএসএফ তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। দেশে ফিরে আসার পর তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দ্রুত হস্তক্ষেপ করে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের পরিবার।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিজিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ নিজেদের হেফাজতে থাকা দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুক্রবার রাতেই ফেরত দেয়।
সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্কতার চলাফেরার পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকা/আমিরুল/এস