পাকিস্তানের তীব্র হামলার মুখে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে ভারত সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে। বুধবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ দাবি করেছেন।
ভারত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালায়। পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুর, এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর সহ ছয়টি স্থানে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আট বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে গভীর রাতে চালানো বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরার তীব্র গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের আরেকটি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ষ্ঠ মাহার ইউনিটের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে। আজাদ কাশ্মীরের লিপা উপত্যকার বিপরীতে অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় ৬ মাহার ইউনিট অবস্থিত। ভারতীয় বাহিনী এখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ভারতের অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
অপারেশন সিঁদুর: ভারতীয় সেনাদের প্রশংসা করে কংগ্রেসের ঐক্যের ডাক
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি অবস্থিত চুরহা কমপ্লেক্সের কাছে সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে ভারতীয় বাহিনী। এর মানে হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় বাহিনী তাদের পরাজয় শিকার করেছে।
অবশ্য এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের হাত থেকে ১৪ মামলার আসামি ছিনতাই
ঠাকুরগাঁও পুলিশের গ্রেপ্তার করা ১৪ মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একদল লোক; শুধু তাই নয়, পুলিশ সদস্যরাও মারধরের শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৮ বছর বয়সি আসামি শাহজাহান আলী পাশের গ্রাম আরাজি পাইকপাড়ার শামসুল হকের ছেলে। মাদক, প্রতারণাসহ প্রায় ১৪টি মামলার আসামি তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
সীমান্ত এলাকার এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির
পুলিশ বলছে, ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের চার সদস্য মাদারগঞ্জ এলাকায় আসামি শাহজাহানকে ধরতে অভিযান চালান। তারা শাহজাহানকে ধরে ফেলেন। তবে হঠাৎ আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের চার সদস্য মারধরের শিকার হন। তবে থানা থেকে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সারোয়ার খান বলেন, “অভিযানে পুলিশ সদস্য কম থাকায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যথেষ্ট পুলিশ সদস্য থাকলে আসামি ফসকে যাবার সুযোগ ছিল না। সেই আসামিকে ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি দ্রুতই তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।”
ঢাকা/হিমেল/রাসেল