কুমিল্লার দেবীদ্বারে টাকা লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক ব্যক্তিকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা এলাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সফিউল্লাহ (৪৫) উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ভানী গ্রামের কেরুর বাড়ির মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। সফিউল্লাহ পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। ওয়ার্কশপের মালিক মো.

রাসেলের (৩২) বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার ত্রিবিদ্যা গ্রামের আন্দিরপাড়ার কেরামত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল ও সফিউল্লাহর মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দুই মাস আগেও তাঁদের মধ্যে মারামারি হয়। ওই ঘটনায় সালিসও হয়েছিল, তবে কোনো সমাধান হয়নি। কারণ, স্পষ্ট করে কেউ বলেননি তাঁদের মধ্যে কিসের টাকা এবং কত টাকার লেনদেন ছিল। এমনকি কে পাওনাদার আর কে দেনাদার, তা-ও স্পষ্ট করে বলেননি তাঁরা।

গতকাল বিকেলে রাসেল ও সফিউল্লাহর মধ্যে কথা-কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে রাসেল শাবল দিয়ে সফিউল্লাহকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাসেল তাঁর ওয়ার্কশপের ভেতরে লাশ রেখে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর রাসেল তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে জানান, নিজ দোকানে তিনি সফিউল্লাহকে খুন করে ফেলে রেখে এসেছেন। পরে সফিউল্লাহর পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান চলমান। তবে কত টাকা লেনদেন বা কার সঙ্গে কার লেনদেন ছিল, তা এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চিটাগাং ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ বৈষম্যবিরোধীদের, চলছে গাড়ি তল্লাশি

চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে চিটাগাং ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, এনসিপির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। জাহেদুল হককে আটকের দাবিতে ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ চলছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের গাড়িও মধ্যরাতে তল্লাশি করছেন শিক্ষার্থী।

জাহিদুল হক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে অর্থের যোগানদাতা ও হত্যাসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এনসিপির প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম সমকালকে বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জায়েদুল হক তার ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছে জেনে কিছু ছাত্র-জনতা চিটাগাং ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করছেন। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।

ওসি বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে কোনো আসামি উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ