আড়াইহাজারে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন
Published: 7th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামী ইমন মিয়ার বাড়িতে অনশনে বসেন সনিয়া নামে এক তরুনী। বুধবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলায় বালিয়াপাড়ার ভাটি গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুনীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত হলে ইমন মিয়া পালিয়ে যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন।
অভিযুক্ত স্বামী ইমন মিয়া উপজেলায় বালিয়াপাড়ার ভাটি গোবিন্দপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী সনিয়া সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের রাউতগাঁও এলাকার মৃত শরিফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।
সনিয়ার অভিযোগ ইমন মিয়া প্রতারণার মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেনমোহ ধার্য করে জোর পূর্বক তাকে বিয়ে করেছেন।
তিনি জানান, আমার সাথে ইমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো ৯ মাসের। একপর্যায়ে আমার মা ইমনকে বলে তুৃমি বাসায় থেকে লোক পাঠাও বিয়ের জন্য। তারপর ইমনের বাসা থেকে লোক পাঠায় ইমনের বাড়ির লোকজন আমাকে পছন্দ করে নাই। তার কিছুদিন পর ইমন আমার কাছে গিয়ে পা ধরে কান্নাকাটি করে আমাকে বিয়ে করতে চায়।
পরে গত ১১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আমি আর ইমন ঢাকা কোর্ট এ নোটারী করার মাধ্যমে বিয়ে করি। চিটাগাংরোড বাসা ভাড়া করে ৫দিন আমরা সংসার করি। তারপর বাসা আসে ইমন ২য় বিয়ে করে। আমি আজ এখানে আসছি স্বামীর অধিকার আদায় করার জন্য। আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই তরুনীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সামাজিক ভাবে একটা ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলা হয়ছে। থানায় এখনও কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।