পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার ফলে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেওয়ায় পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সে অনুযায়ী আজ (৯ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ইসলামাবাদ থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন নাহিদ ও রিশাদ।

ইসলামাবাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পিকে-২৬১ ফ্লাইটে করে উড়াল দেবেন এই দুই ক্রিকেটার। শুধু নাহিদ ও রিশাদই নয়, পাকিস্তানে অবস্থান করা সব বিদেশি ক্রিকেটারকেই একই ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুবাইয়ে।

এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে পাকিস্তানে রয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রীড়া সাংবাদিকও। তারাও একই ফ্লাইটে দুবাই যাচ্ছেন। তবে নাহিদ-রিশাদ দুবাইয়ে পিএসএলের জন্য হোটেলে অবস্থান করবেন, আর সাংবাদিকরা সেখান থেকে দেশে ফিরবেন।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আজ বলেন, ‘আমি পিসিবির সভাপতির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করেছি। নিরাপত্তাজনিত কারণে যেহেতু সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আমরা চেয়েছি যেন আমাদের দুই ক্রিকেটারের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপদে বের করে আনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা পেশাদার দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে গিয়েছেন। বোর্ড মনে করে, এখানেও আমাদের একটা দায় রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি যেন ক্রিকেটাররা যখন সরানো হবে, তখন সাংবাদিকরাও নিরাপদে সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক

রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।

চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে। 

বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা,  কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক